চীন ছাড়াও চলতি মাসে জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ আরও টিকা পাবার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। একটি লাইনআপ তৈরি করেছি। আমি মনে করি, এখন আর টিকার সংকট থাকবে না এবং কোনো বাধা ছাড়াই টিকা দেয়ার কর্মসূচি চলবে।’
আরও পড়ুন: গণটিকার নিবন্ধন শুরু বৃহস্পতিবার
ড. মোমেন বলেন, ‘কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ জাপান থেকে প্রায় ২৫ লাখ ডোজ এবং ইইউ থেকে ১০ লাখ টিকা পাওয়ার আশা করছে। এগুলো সম্ভবত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন দেশে জাপানের টিকা দেয়ার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে আমাদের টিকা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’
মোমেন বলেন, ‘এ সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে তারা কোভ্যাক্সের আওতায় একটা বড় অঙ্কের টিকা পাঠাবেন। কোভ্যাক্সের আওতায় বলে এটা বিনা মূল্যে পাব। জাপান থেকে ২৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জানিয়েছে আমরা আরও পাব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে: চীনা উপরাষ্ট্রদূত
মোমেন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার ডোজ দেশে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
‘এই তিন মাসের পর চুক্তি সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং চীনা পক্ষ জানতে চেয়েয়ে বাংলাদেশের কতটুকু লাগবে। আমরা চুক্তিটি প্রসারিত করব। পরিমাণ সম্পর্কে তাদের জানাতে তারা একটি তারিখ দিয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এখন থেকে ৩৫ বছর হলেই টিকার নিবন্ধন
ভারত থেকে টিকা পাবার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত কখনো বলেনি যে তারা বাংলাদেশকে টিকা দেবে না। আমি আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি এবং উত্পাদন বাড়ার পর আমরা ভারত থেকে টিকা পেয়ে যাব।’