চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবারহ করতে না পারলে বাংলাদেশের প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না সে ব্যাপারে আমরা এখনো কিছুই জানিনা। যদি আমরা জানতে পারি ভ্যাকসিন আসবে না তবে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে আমাদের কথাবার্তা চলছে তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে চুক্তির সকল নিয়ম মেনে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে চুক্তি হয়েছিল।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছি। যেহেতু জনগণের জীবন বাচাঁতে ভ্যাকসিন খুবই জরুরি, তাই আমরা অন্যান্য উৎস থেকেও ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছি।’
দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ভ্যাকসিন ছিল। ৮৮ লাখ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৪ লাখ ভ্যাকসিন মজুদ আছে।’
তিনি বলেন, বিদ্যমান মজুদ শেষ হওয়ার আগে দেশে নতুন করে ভ্যাকসিনের চালান না এলে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেবে।
রোবেদ বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭১৯ জন লোক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৬৯ জন লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ১৪ লাখেরও বেশি ডোজের অভাব রয়েছে দেশে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভ্যাকসিন সংকটের মধ্যে সরকার ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদানের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন যে ঈদুল ফিতরের আগে চীন থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারে বাংলাদেশ।