সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আলাদা পাঁচ আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেয়।
ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অমিত দাসগুপ্ত।
গত বছরের ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।
মামলার বাদীরা হলেন- প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এমরানুল হক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংগঠিত করা ও নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করলে ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন গঠনের খবর জানার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৯৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই বাদীরা শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৩১৩ ধারায় তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ইউনিয়ন গঠন ও তার কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য এ মামলা করেন।
এসব মামলায় জামিন নেয়ার পর মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। গত ৪ মার্চ হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সে আবেদনগুলো সোমবার নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।