মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাভবন ‘এ’ বিল্ডিংয়ের অর্জুনতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে দুই ছাত্রসংগঠনের বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পরে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সবার আশা ছিল একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক পরিবেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কুয়েত-মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার উদ্ধার, রোকেয়া হলে ব্যালটবাক্স উধাও, ভোটকেন্দ্র সমূহে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দখল-দারিত্ব, ছাত্রলীগের বিপরীতে দাঁড়ানো প্যানেল সমূহের প্রতিনিধিদের হামলা ইত্যাদি মূলত শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করার নামান্তর।
‘তাই এই নির্বাচনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে.’ বলেন বক্তরা।
তারা আরও বলেন, আজ এটা দিনের আলোর মত সত্য যে, ছাত্র অধিকার দমিয়ে রাখা রাষ্ট্রযন্ত্র তার সর্বশক্তি দিয়ে এই নির্বাচনকে একটি প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করছে। এতে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংসদ (ডাকসু) কলঙ্কিত হয়েছে। তাই আমরা পুনরায় তফিসল ঘোষণা এবং হলের বাইরে ক্লাসরুমে পুনরায় নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে অচল থাকা শাবিপ্রবি ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের দাবিও জানাচ্ছি।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখা কমিটি সদস্য মুহম্মদ মঈনুদ্দিন মিয়া সঞ্চালনা ও জাতীয় ছাত্র দলের শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি রামকৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন-জাতীয় ছাত্র দলের শাবিপ্রবি শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীনবন্ধু সরকার সৌরভ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল আযম বিশ্বাস। এছাড়া এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্র, জাতীয় ছাত্র দল শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক রুপেল চাকমাসহ দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।