তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় যাত্রী উঠা-নামায় সময় লাগায় ট্রেনের বিলম্ব হয়। এছাড়া একই লাইনে ট্রেন চলাচল করায় অন্য ট্রেনকে সাইড দিতে গিয়ে বেশি সময় লেগে যায়। তাই ডাবল রেললাইন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত শিডিউল পুরাপুরি রক্ষা করা কঠিন।’
তবে ঈদে শিডিউল রক্ষায় রেল মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরির্দশনকালে জানান মন্ত্রী।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন সোমবার তিনি জানান, সকাল ৯টা থেকে কাউন্টারে এবং সকাল ৬টা থেকে মোবাইল অ্যাপসে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিন কোনো অভিযোগ ছাড়াই টিকিট বিক্রি চলছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের পাঁচটি স্টেশন থেকে পূর্ব নির্ধারিত ট্রেনের বিক্রি হচ্ছে। কমলাপুরে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতু, বিমানবন্দরে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সকল আন্তনগর ট্রেন, তেজগাঁওয়ে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সকল আন্তনগর ট্রেন, বনানীতে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস এবং ফুলবাড়িয়াতে (পুরাতন রেলভবন) সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সকল আন্তনগর ট্রেনের টিকেট দেয়া হচ্ছে।
‘গত ঈদুল ফিতরে মোবাইল অ্যাপসে টিকিট কাটতে গিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল এবার তা কমে গেছে,’ যোগ করে তিনি।
নারীদের কাউন্টার বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, নারীদের জন্য দুটি কাউন্টারে টিকিট দেয়া হচ্ছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. মিয়া জাহানসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।