ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত মজনুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডও দিয়েছে।
ধর্ষণের এ মামলায় আজ রায় ঘোষণার জন্য গত ১২ নভেম্বর দিন ধার্য রেখেছিল আদালত।
এর আগে, ২৬ আগস্ট আদালতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তখন তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি মজুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ঢাবির ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে নিজেকে ওই নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
পর দিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ঢাবিসহ পুরো দেশে বিক্ষোভ দেখা দেয়।