এ বিষয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়েরুল আলমের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে অর্থপাচার করে বাড়ি-গাড়ি ক্রয়কারীদের নিয়ে নতুন প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
রুলে ওই দুই স্কুলের নাম পরিবর্তনের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোগলটুলীর ‘শহীদ জিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তনের নিন্দা বিএনপির
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করতে আদেশ দেন। এরপর স্কুল দুটির নাম পরিবর্তন করা হয়। স্কুল দুটি হলো শহীদ জিয়াউর রহমান গালর্স হাইস্কুল, পরে নাম করা হয় সুখানপুকুর বন্দর গালর্স হাই স্কুল। আরেকটি হচ্ছে গাবতলী শহীদ জিয়া হাই স্কুল, পরিবর্তন করে নাম করণ করা হয় গাবতলী পূর্বপাড়া হাই স্কুল। পরে স্কুল দুটির নাম পরিবর্তনের ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন চায় না বিএনপি
রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘১৯৯৬ সালে গাবতলী শহীদ জিয়াউর রহমান গালর্স হাই স্কুল এবং ২০০০ সালে শহীদ জিয়া হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলের সব কার্যক্রম সেই নামেই পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল কোনো কারণ উল্লেখ ছাড়াই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই নামটি পরিবর্তন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশটি চ্যালেঞ্জ করে স্কুল দুটির কমিটির ম্যানিজিং কমিটির চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক নূতন ও মোর্শেদ মিল্টন হাইকোর্টে রিট করেন। ওই দুই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তন চেষ্টায় চট্টগ্রামে বিএনপির কর্মসূচি