তিনি বলেন, ‘একটি কেন্দ্রে যতগুলো লোক একদিনে দেয়া যাবে, সেই প্রোগ্রাম অনুযায়ী এসএমএস যাবে। দেশে করোনার টিকার কোনো অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না। ৭০ লাখ টিকার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।’
ঢাকা ডেন্টাল কলেজে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার মতো বড় দেশগুলো ঠিকমতো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা পেয়েছে।’
এসময় ভ্যাকসিনের অ্যাপসে প্রায় ২৫ লাখ নিবন্ধন হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এখন আর কেউ টিকা নিয়ে সমালোচনা করে না।’
আরও পড়ুন: প্রতিদিন অন্তত ২ লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যাদু বা ম্যাজিক দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়নি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম টিকা নেয়ার পর তিন মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় টিকা নেয়ার সময় থাকে। যত পরে নেয়া হয় টিকার কার্যকারিতা তত বেশি হয়।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ৮ সপ্তাহ পর টিকা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের কাছে নতুন করে মেসেজ পৌঁছে যাবে।
টিকা নেয়ার বয়সসীমা ৪০ বছরই থাকছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে বিরোধী দল শুধু সমালোচনাতেই মেতে ছিল। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনবোধ করেনি।
দেশে এখন নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ অনেক বাড়ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা সব অসুখকেই গুরুত্ব সহকারে দেখি। মৃত্যু এখানেই বেশি হয়। প্রায় ৬০ শতাংশের উপরে মানুষের মৃত্যু হয় নন-কমিউনিকেবল ডিজিজে। কিন্তু কমিউনিকেবল ডিজিজেও কম মৃত্যু হয় না। এটা যদি একবার ধরে তাহলে করোনাভাইরাসের মতো হয়ে যায়। তাই কমিউনিকেবল ডিজিজ এবং নন কমিউনিকেবল ডিজিজ দুটোতেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মুখের ক্যান্সার অনেক বাড়ছে। মানুষ পান খায়, জর্দা খায় আর এসব কারণেই মুখের ক্যান্সার বাড়ে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা প্রদানে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন সুবিধা বাতিল: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ২ বার চিঠি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
‘মুখে কেন ক্যান্সার হয়, করণীয় কী, এগুলো সাধারণ মানুষকে আমাদেরকে জানাতে হবে। মানুষের মুখটাই তো আসল। তার মধ্যে দাঁতটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের প্রতি এখনো বাংলাদেশে এতটা সহজ নয়। দাঁতের যত্ন না নিয়ে অবহেলা এখনও আছে। কিন্তু দাঁতের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন। শুধু দেখতে ভালো লাগার জন্যই না, আমরা সারা দিনে যা খাই দাঁত-মুখ দিয়েই পেটে প্রবেশ করে,’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে দাঁতের ফ্রি চিকিৎসা হচ্ছে। অন্য দেশে কিন্তু এই দাঁতের চিকিৎসা ফ্রি না সেটা আপনারা জানেন। আমরা চাই দাঁতের চিকিৎসকদের কাছ থেকে ভালো সেবা।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান প্রমুখ বক্তব্য দেন।