সংস্থাটির পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। এ পর্যন্ত আইইডিসিআর ১ হাজার ৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পাঁচজন ও ঢাকায় ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফল পাওয়া গেছে। সুতরাং এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮।’
ডা. ফ্লোরা আরও বলেন, আমরা আপনাদের একটি সুখবর দিতে চাই। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজন রোগী করোনাভাইরাস থেকে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট ১৫ জন সুস্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনার আর কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ২৮৪ জনের মধ্যে ৪৭ জনকে এখনও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আইইডিসিআর পরিচালক স্বীকার করেন, কিছু কিছু এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটি বা দুটি ক্ষেত্রে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে। আমরা সেই অঞ্চলগুলো তত্ক্ষণিকভাবে পৃথক করে দিয়েছি ... আমরা এই ধরনের সংক্রমণের ওপর নিবিড় নজরদারি করেছি।’
গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে হটলাইনের মাধ্যমে ৩,৪৫০টি কল পেয়েছে।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মড ফোর্সেস প্যাথলজি ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রংপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে এবং দক্ষ ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে সেখানে ল্যাব নির্মাণ করার জন্য।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৩ লাখ ডলার দিল এডিবি
এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩৫৯ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৮৫ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬৬ জন চিকিৎসাধীন এবং ২৩ হাজার ৫২৩ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৭১৯ জনের মধ্যে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬০ জন (৮৩ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ২৭ হাজার ৩৫৯ জন (১৭ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানি ২৭ হাজার ছাড়াল
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।