স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক প্রজন্ম বিকৃত ইতিহাস জেনেছে। কিন্তু আজ আর কেউ দেশে ইতিহাস বিকৃত করতে পারবে না। কেউ আর বাঙালি জাতির ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন, কিন্তু মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকেও তার নাম মুছে দেয়া হয়েছিল।
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে বেশি দিন ঢেকে রাখা যায় না এবং সত্য শেষ পর্যন্ত উদ্ভাসিত হয়ে উঠে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে তখন দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার সরকার।
আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা দেশের সেবা করে জানিয়ে তিনি দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। ‘তেমন বাংলাদেশ গড়তে দলকে শক্তিশালী করতে হবে,’ বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, রমেশ চন্দ্র সেন ও মোহাম্মদ ফারুক খান।