নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলার অপর ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক, হেলাল হোসেন, জালাল হোসেন, বেলাল হোসেন, জায়েদ আলী, আবুল হোসেন, মোস্তফা ও সোহাগ আলী। এদের মধ্যে সাইদুল ইসলাম, জায়েদ আলী ও সোহাগ আলী পলাতক রয়েছেন। আমৃত্যূ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে আসামি হাসেম আলীর। তিনি বদলগাছীর উজালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম বলেন, সামান্য বিষয় থেকে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড খুবই মর্মান্তিক। এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য সমাজে একটা বার্তা দেয়া উচিত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আমজাদ হোসেন ও শ্যালক আব্দুল ওয়াদুদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিপক্ষ হাসেম আলী, সাইদুল ইসলাম, আইজুল হক ও হেলাল হোসেনসহ অন্যান্য আসামিদের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে জমির দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকাল ৩টার দিকে তাদের তিনজনকে হত্যা করা হয়।
২০ আসামির মধ্যে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডে সাজা দিয়েছেন আদালত। এ মামলার রায়ে বাদী পক্ষ অত্যন্ত খুশি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বাদী নিহত শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এই রায়ে আমরা খুশি। অবিলম্বে আসামিদের সাজা কার্যকর হলে আবার বাবা, চাচা ও মামার আত্মা শান্তি পাবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। হত্যার কারণে যে বাকিদের হত্যা এ রকম চিন্তা থেকে এ রকম রায় আসছে। বিচারে নয় জন আসামিকে ঢালাওভাবে মৃত্যুদন্ডের আদেশ সঠিক হয়নি। মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।