সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় অধ্যক্ষ সিরাজ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু জানান, আদালত ২৭ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে।
৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজকে একমাত্র আসামি করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
০৯ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ তার কক্ষে নুসরাতকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে।
শ্লীলতাহানির এ মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। গুরুতর আহত নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
পিবিআই পরিদর্শক আলম বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে তিনি ২৭ মার্চের শ্লীলতাহানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাই এ মামলায় নতুন করে আর জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজন হয়নি।