তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে রক্তপাত, খুন-খারাবি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের খালি সেনাক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেখানে আনসারও মোতায়েন করা হবে। আরও দুর্গম সীমান্তবর্তী ক্যাম্পগুলোতে মোতায়েন করা হবে বিজিবি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনও ‘অধরা’
এ কাজে মন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে: মন্ত্রী উশৈসিং
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালির সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য ভূমি সমস্যা থেকে শুরু করে যা যা অন্তরায় রয়েছে সবগুলো সমাধান করা হবে। আমরা পার্বত্য অঞ্চলকে একটি শান্তির এলাকা হিসেবে দেখতে চাই। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক, এ কথাটাই আমরা এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমতল ভূমির সাথে তাল মিলিয়ে একসাথে চলবে।’
আরও পড়ুন: সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে বস্তাবন্দী করে রেখেছে: ঊষাতন তালুকদার
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন তা করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা রক্তপাতহীনভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা দুর্বল নই, কেউ যদি মনে করে আমরা দুর্বল তাহলে সেটা হবে ভুল। আমরা বল প্রয়োগ করতে চাই না। আমাদের বিশ্বাস আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি: জনসংহতি সমিতি
সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহরিয়ার জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অপু, সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদুল ইসলামসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।