টিকা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাসহ প্রয়োজনীয় সব প্রটোকল বজায় রেখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।
এসময় দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ, নিয়মিত, সুলভ ও সুশৃঙ্খল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষই কাজ করবে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
তিনি মালয়েশিয়া সরকারের বাংলাদেশি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী এম সারাভানান দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় মানব পাচারের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে এমওইউ-এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১৫০০ রিংগিত করেছে।
আরও পড়ুন: মে মাসে রপ্তানি আয় ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩. ৮৩ বিলিয়ন ডলার
মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের বেশি প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগ হলে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখন তারা সমস্ত কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করছেন যাতে প্রতিটি পদক্ষেপ অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে মাঝে না রেখে সরাসরি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে শ্রমিকদের বেতন কার্ড অ্যাকাউন্টে ই-পেমেন্ট ইনস্টল করেছেন তারা।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: চাপের মধ্যে ডলারের একক রেট প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ ব্যাংক