আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার সর্বময় ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতির প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। আমি মনে করি, এখন যারা আপিল বিভাগে আছেন তারা সবাই এ পদের জন্য যোগ্য।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার আওতায় ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হয়েছে তা তত্ত্ববধায়ক সরকার করেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী কিছু শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এখন তার মুক্তির আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে এবং আবার আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক করার অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী মুক্তি পেয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় তার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তার আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে এবং নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া আবেদন পুনরায় বিবেচনার সুযোগ নেই।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি সেখানে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি