দেশে চাষোপযোগী ফসল, বিশেষ করে বিভিন্ন ফলের জাত উদ্ভাবন করে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনতে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফসলের জাতের ক্ষেত্রে বিদেশনির্ভরতা ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে। আমাদের দেশের চাষোপযোগী জাত আমাদের বিজ্ঞানীদেরকেই উদ্ভাবন করতে হবে। বিশেষ করে ফলের জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী-গবেষকদের আরও সক্রিয় হতে হবে, নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সরকারি টাকা হলো জনগণের টাকা। জনগণের অর্থে প্রকল্প পরিচালিত হয়। সেজন্য, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে অর্থ ব্যয় করতে হবে। জনগণের টাকা কোথায়, কীভাবে, কী কাজে ব্যয় হচ্ছে- তা জনগণকে জানাতে হবে। যাতে জনগণ জানতে পারে, বুঝতে পারে; তাদের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে,কতটুকু কাজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়ছে। ফলে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই, জনসংখ্যা ও খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন ধরে রাখা ও তা আরও বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ উৎপাদনশীল জাতগুলোকে দ্রুত কৃষকের কাছে, মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে সকল সংস্থাকে সমন্বিতভাবে আরও জোরালো তৎপরতা চালাতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭০টি। মোট বরাদ্দ দুই হাজার ৯১৮কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ২৪ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতিরে চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। তিনি বলেন, কোনভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা যাবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের বিগত বছরের সাফল্য এ বছরও ধরে রাখতে হবে। সেজন্য, গুণগতমান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, হাসানুজ্জামান কল্লোল, ওয়াহিদা আক্তার, বলাই কৃষ্ণ হাজরা, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাল ব্যবহারের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী
উপকূলীয় এলাকার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর