ফেনীতে অস্ত্র মামলায় সাত আসামিকে ২২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউছুপ এ রায় দেন।
সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম জিয়া (৩৩), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ চনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে হুমায়ুন কবির মিন্টু (৩৫), মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩৪), রুহুল আমিনের ছেলে ওসমান গনি (৩৬), কসবা গ্রামের জাফর আলী জমাদ্দার বাড়ির নুরুল হুদার ছেলের সাখাওয়াত হোসেন (৩০) ও সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আব্দুল হকের ছেলে শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৬)।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ফরিদ আহম্মদ হাজারী ও আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে পাহাড়কাটার অভিযোগে ৬ জনের কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার কৌঁসুলি ফরিদ আহম্মদ হাজারী বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাত আসামির প্রত্যেককে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে নুরুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুজন গ্রেপ্তার হলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে তখন থেকে তাদের রায় কার্যকর হবে। এছাড়া অন্যরা জামিনে থেকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একটি কক্ষ থেকে একটি গুলিসহ দেশীয় বন্দুক, একটি গুলিসহ একনলা বন্দুক, একটি গুলিসহ দেশি পাইপগান, দুটি ছুরি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ওই সাত জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ, চোরা ও রামদা রাখার অপরাধে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করে।
২০১৪ সালের ২৯ মে ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক মোতাহার হোসেন সাত জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট চার্জ গঠন করেন। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড