ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা তিনদিন ধরে পানি বন্দি রয়েছে। রবিবার রাত ৯টা থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সোমবার থেকে বুধবার তিনদিন এসব এলাকার হাজারো বাসিন্দা পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়াও, তাদের দৈনন্দিন আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নষ্টের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এসব পানিবন্দি বাসিন্দাদের মাঝে বরিশাল জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি, মেরামত হচ্ছে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ
জানা গেছে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিবার রাত ৯টা থেকে সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত মুষলধারে মৌসুমের রেকর্ড ৩৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে নগরীর অর্ধশত এলাকার নিম্নাঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। ইতোমধ্যে সড়কের পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলের আবাসিক এলাকার পানি শতভাগ অপসারণ না হওয়ায় পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পানিবন্দি থাকায় অনেকের ঘরেই জ্বলছে না উনুন। ফলে বাইরে থেকে খাবার কিনে বা সরকারি সহায়তার খাবারের আশায় বসে থাকতে হচ্ছে তাদের।
নগরীর শ্রী-নাথ চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা মো. ইয়াসিন জানান, তিন দিন ধরে ঘরের মধ্যে পানি উঠে আছে। সড়কের পানি নেমে গেলেও ঘরের পানি নামেনি, তাই চরম কষ্টে আছি।
নগরীর বটতলার বাসিন্দা আবদুর রহমান মিয়া জানান, বৃষ্টি শুরুর কয়েক ঘণ্টায় বসতঘরে পানি উঠলেও এখনও নামেনি। বাইরে থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে, এভাবে জীবন চলে না।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, পানিবন্দিদের মাঝে প্রতিদিন রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।