বকেয়া বেতন পরিশোধ, বেতন বৃদ্ধি, রমজানে ইফতারের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভরত চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপ ও চীন ভিত্তিক সেপকো থ্রি’র নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ শ্রমিককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নী স্মরণিতে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দীপঙ্কর চক্রবর্তী দ্বীপ।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষ: ২ মামলায় আসামি আড়াই হাজার
তিনি বলেন, সরকারের দমন-পীড়নে জনগণ অতিষ্ঠ। যে শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, যৌক্তিক দাবি না মেনে জনগণের করের টাকায় কেনা বন্দুক ঠেকিয়ে তাদেরকে খুন করার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যে এই সরকার আসলে গরীব মানুষের সরকার না।
তিনি এই হত্যাযজ্ঞের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে এস আলম বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫
মানববন্ধনের সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ব্যবসায়ীদের নিয়ে সরকার গঠনকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি বেনিয়াদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে এই মানুষগুলোকে খুন করেছে।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে তাদের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করে এ ধরণের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহতের ঘটনা অগ্রহণযোগ্য: জাপা সভাপতি
রাকিবুল বলেন, ‘বকেয়া বেতন পরিশোধসহ যৌক্তিক বেশ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলরত শ্রমিকদের গুলি করে হত্যার ঘটনার বিচার এই সরকার আগেও করেনি, এইবারও করবে না। দমন-পীড়ন রুখে দিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখে সরকারকে বাধ্য করা ছাড়া আর কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।’