আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন কেউই বাংলাদেশকে অবহেলা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘এক সময় বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক নেতিবাচক ধারণা ছিল। এখনও কিছু লোক আছে যারা বাংলাদেশকে অপবাদ দিতে পছন্দ করে। কিন্তু আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখার দক্ষতা এবং দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) ২০২১-২২ কোর্সের স্নাতক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে এই গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি ও লোভের ঊর্ধ্বে উঠে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে যে মর্যাদা অর্জিত হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তা হারিয়েছিলাম, তবে বাংলাদেশ সফলভাবে তা আবার ফিরে পেয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কেউ এখন অবহেলা করতে পারবে না। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মর্যাদা অর্জন করেছে। এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
জাতির পিতার প্রণীত বৈদেশিক নীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’--এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময় সেই নীতি বজায় রেখেছে।
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে লড়াই করব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এলে আমরা চুপ থাকব না। আমরা অবশ্যই এর প্রতিবাদ করব। আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সেভাবেই গড়ে তুলেছি।
বাংলাদেশ সব সময় অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্যের উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।