বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে একটি বার্তায় বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ আরও নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলার জন্য তাদের সংকল্পে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ করোনা মহামারির অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার জন্যও উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
অস্ট্রেলিয়ান জনগণের পক্ষ থেকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাথমিক স্বীকৃতি এবং ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় আমাদের মিশনের সূচনার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে।
মরিসন বলেন, অর্ধশতাব্দী পর দুই দেশের মানুষ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রদায়ের সংযোগ এবং দুই দেশের ভাগ করা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর নির্মিত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করতে চলেছে ।
তিনি বলেন, অবশ্যই, আমাদের জনগণেরও খেলাধূলার প্রতি ভালবাসা রয়েছে। যেটা এমন একটি আবেগ যা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্রিকেট মাঠে নিয়ে আসে। আমি নিশ্চিত যে আমরা আগামী বছরগুলোতে এই ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও বিকশিত হতে দেখব। যেমন বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
তিনি বলেন, তারা এই বছরের শেষের দিকে আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানাতে উন্মুখ।
মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ তারা একটি নতুন কোর্স তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি ব্যবসায়িক সম্পর্ককে শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করবে, কর্মসংস্থান শক্তিশালী করবে এবং উভয় দেশে ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করবে।