অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জনসাধারণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমাতে, মিতব্যয়ীতার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং অর্থনীতিতে নতুন রাজস্ব ধারা তৈরি করতে ভ্রমণ কর হার বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন।
বৃহস্পতিবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় তিনি বলেন, ‘এই নীতি একদিকে আমাদের আরও রাজস্ব দেবে এবং অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ কমিয়ে ডলার সাশ্রয় করবে।’
বিমান পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকীকরণ এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করার প্রয়াসে সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য ৬ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৯৬৯ কোটি টাকা বেশি, যা ছিল ৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাণিজ্যের সুবিধার্থে এবং বিমান চলাচলের খরচ কমানোর জন্য নিবন্ধিত এয়ারলাইন্স দ্বারা আমদানি করা এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন, টার্বো জেট এবং বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানিতে অগ্রিম কর অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
এক দশক ধরে চলমান রেয়াতি হারে হোটেল সামগ্রী আমদানির বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারেরও প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু অনেক বড় মাপের এবং উচ্চ মানের হোটেল ইতোমধ্যে এই সুবিধার অধীনে নির্মিত হয়েছে, তাই শুল্ক কর অব্যাহতি অব্যাহত রাখা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হচ্ছে। তাই রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে আমি বিদ্যমান বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি।’
আরও পড়ুন: সংসদে দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী