বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন ও অপর এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রুমা উপজেলার রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, নিহত সেনাসদস্য হাবিবুর রহমান একজন ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। আহত সৈনিকের নাম ফিরোজ।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে প্রতারণা: মেম্বার প্রার্থী গ্রেপ্তার
স্থানীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে গমন করেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের পাল্টা হামলায় জেএসএস মূল দলের তিন জন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে।
এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া সৈনিক ফিরোজ নামে এক জন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত সেনা সদস্যকে আজ সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
অভিযানে সেনা টহল দল সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি এম্যোনিশন ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা জব্দ করে।
বর্তমানে সেনা টহল দল ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি এবং স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বলে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জনগণের বাহিনী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
সেনাবাহিনীকে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: সেনাপ্রধান