আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়লাভ করতে না পারলে, এই দেশকে বিএনপি-জামায়াত মিলে বিরানভূমি করে ফেলবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র ও বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে আবারও জয়লাভ করাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আগস্ট ট্রাজেডি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি’- শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশ চাই, বিএনপি জামায়াতের ধ্বংসের রাজনীতি চাই না। সময় এসেছে তাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের বিচার তো দূরের কথা, পুরস্কার হিসেবে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি রাজাকার ও আল-বদরকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে বলেও এ সময় জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কমিশন গঠনের জন্য একটি খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতিহাস ঘেঁটে, ইতিহাসের উপর গবেষণা করে সত্য প্রতিষ্ঠা করে এটি জনগণের কাছে রেখে যাব আমরা। ’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে এবং এই বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে সরকার পরিচালনা করছেন।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী