শরীয়তপুর সদর উপজেলায় বিয়ের একদিন আগে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এসময় অভিযুক্ত যুবক গণপিটুনিতে আহত হন। শনিবার সদর উপজেলার চর পালং গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত কাকলী (১৮) শরীয়তপুর সদর আলিয়া মাদ্রাসার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলার চর পালং গ্রামের নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে। অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামও একই মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ও কাশভোগ ইউনিয়নের মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, শনিবার নিজের বাড়িতে বসে কাকলী তার হবু স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় জাহিদুল জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে ঘরের আড়ালে নিয়ে যায় এবং কাকলীর গলায় ছুরিকাঘাত করে। কাকলীর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা জাহিদুলকে আটক করলে স্থানীয়রা তাকে মারধরের পর একটি ঘরে আটকে রাখে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোবাইল না পেয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!
রবিবার ভোর ৩টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাকলী মারা যান। ঘটনার পর স্থানীয়দের হাতে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম আহত হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতের ভাই ফারুক হোসেনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছয় বছরেও তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি নেই