প্রতিবেশী দেশ আসা যাত্রীদের সুরক্ষায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট নোমান্সল্যান্ডে স্বাস্থ্যসম্মত জীবানুনাশক স্প্রে, হ্যান্ড সেনিটাইজিং ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের কাজ করছে বিজিবি সদস্যরা।
যাত্রীদের প্রবেশের মুখেই করোনা ঝুঁকি রোধে জীবানুনাশক স্প্রে, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে মাইক্রোবাসে করে স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পৌঁছে দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা।সেখানে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাত্রীদের সেবায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বেনাপোল বন্দরে কর্মরত বন্দর শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণও করছে বিজিবি।
ইতিমধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরিক্ষায় নিয়োজিত ৬ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসকরা করোনার মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবীব জানান, গত এপ্রিলে বেনাপোল দিয়ে ১ হাজার ৮০০ যাত্রী দেশে ফিরেছেন। আর চলতি মাসের গত ১০ দিনে ফিরেছেন ১ হাজার ৫৩৬ জন।
ভারত থেকে ফেরা প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইনটিনে রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, এখনো ভয়াবহ করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ভারত থেকে প্রতিদিন দেশে ফিরছেন শতশত যাত্রী। ফলে বেনাপোলবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
‘তবে বিজিবি সদস্যরা চেকপোস্টে অনান্য সংস্থ্যার পাশাপাশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে সীমান্ত সুরক্ষা দিচ্ছেন, আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষথেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন তাদের এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।