ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন।
নিহত নজির আহমেদ সরাইল উপজেলার ওবায়দুল্লাহর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে নজিরের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, নজির হৃদরোগে মারা গেছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নজির ও তার পরিবারের সদস্যরা সন্দেহভাজন এক চোরকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহভাজন চোরসহ নজিরকে আটক করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ‘পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু’: মানবাধিকার সংগঠনের বিচার দাবি
তবে নিহতের বড় ভাই ও জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তাফছির দাবি করেন, তার ছোট ভাই নজির ওই এলাকায় একটি বাড়ি কিনেছেন। এরপর থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাহেদ উল্লাহর কথিত পৃষ্ঠপোষকতায় একদল এলাকাবাসী তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্য হেলাল মিয়ার ছেলে জুম্মন মিয়া (৩৫) নজিরের ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘটনার পর পরই সরাইল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাড়িতে এসে নজির ও জুম্মনকে থানায় নিয়ে যান।
তিনি থানায় যাওয়ার পর, তাফসির জানতে পারেন তার ভাইকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে মারা যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাহেদ উল্লাহ ও সরাইল পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলেও দাবি করেন তাফসির।
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, এসআই প্রত্যাহার
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, নজির থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের অপর ভাই জাফর আহমেদ বাদী হয়ে মোশাহেদ উল্লাহসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।