বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ডিএমপি সদরদপ্তরে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক সমন্বয় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
আর পড়ুন: খুলনায় ভাস্কর্য সুরক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তা
শফিকুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে। লন্ডনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় গ্রেড-৪ লকডাউন চলছে। তাই বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধনের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে। সেই সাথে খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
আর পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
গির্জাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রার্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করলে ভালো হবে বলে মত দেন ডিএমপি কমিশনার।
থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, উন্মুক্ত স্থানে লোকজনের জড়ো হওয়া ও বছর শেষের কোনো পার্টি করতে দেয়া হবে না।
হোটেলে ডিজে পার্টির জন্য কোনো জায়গা বা কক্ষ ভাড়া দেয়া যাবে না। তবে হোটেলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেয়া হবে না, বলেন তিনি।
আর পড়ুন: রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু
হোটেলগুলোতে অনুষ্ঠানের কারণে রাস্তায় যেন অতিরিক্ত যানজটের সৃষ্টি না হয় সে দিকে প্রত্যেককে লক্ষ্য রাখতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থার্টিফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান করা যাবে না, বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি জানান যে বারগুলো থার্টিফার্স্ট নাইটের সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে। দোকানগুলো সামাজিক দূরত্ব ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। তবে, নতুন বছরের আগের রাতে ৮টার পর সব ফাস্টফুড দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
সমন্বয় সভায় যে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে আছে প্রত্যেকটি গির্জায় নির্ধারিত ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
আর পড়ুন: সাকিবের নিরাপত্তায় সশস্ত্র প্রহরী দিল বিসিবি
দর্শনার্থীদের গির্জায় ঢুকতে দেয়া হবে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তাদের তল্লাশি করা হবে। ডগ স্কোয়াড মোতায়েন এবং আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকবে।
গির্জা এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। গির্জা এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেয়া হবে না। ‘আপনারা কোনো ধরনের ব্যাগ, বাক্স, কার্টন ইত্যাদি নিয়ে গির্জায় আসতে পারবেন না,’ বলেন ডিএমপি প্রধান।
প্রতিটি জায়গায় প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার সুযোগ, তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা, জীবাণুনাশের জন্য অটো স্প্রে মেশিন অথবা টানেল বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। গির্জার ফাদার ও দায়িত্বরত ব্যক্তিদেরসহ সব দর্শনার্থীদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
আর পড়ুন: ইন্টারনেটে নারীর নিরাপত্তায় পুলিশের নতুন শাখা
সবখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুদের অনুষ্ঠানে আসতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। অনুষ্ঠানস্থলে একমুখি চলাচলের পথ থাকবে।
সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।