নতুন বছর
নতুন বছরে সঞ্চয় বাড়ানোর কয়েকটি উপায়
বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালেও জনজীবনের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ হিসেবে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান নিষ্পেষণ। জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি আর্থিক স্থিতিশীলতাকে ক্রমশঃ হুমকিতে ফেলছে। মৌলিক চাহিদা মেটাতেই যেখানে ঋণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা, সেখানে সঞ্চয়ের প্রসঙ্গটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। আবার সঞ্চয় ব্যতীত জীবন আরও অবনতির দিকে ধাবিত হয়।
তবে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও চরম সংকট মোকাবিলায় মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে অর্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। চলুন, আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার সঙ্গে সঞ্চয় বৃদ্ধির কয়েকটি প্রয়োজনীয় উপায় জেনে নেওয়া যাক।
সঞ্চয় বৃদ্ধির ৫টি কার্যকর কৌশল
জীবনের দৈনন্দিন লেনদেনে নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতি অবলম্বনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের নির্ভরযোগ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে-
সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেট তৈরি
প্রত্যেকটি ছোট ছোট বিষয়কে বিবেচনায় রেখে একটি বিশদ বাজেট পরিকল্পনা গড়ে দিতে পারে আর্থিক ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি। এখানে আয়ের উৎসের বিপরীতে ব্যয়ের শ্রেণি বিভাজন হওয়ার কারণে সম্ভাব্য খরচের খাতগুলো স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
আরো পড়ুন: ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বাজেটে সঞ্চয়ের জন্য জায়গা রাখার কৌশল হচ্ছে শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় ব্যয়ের খাতগুলোকে আমলে নেওয়া। সেই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচগুলো চিহ্নিত করে রাখা উচিত, যেন সেগুলো থেকে দূরে থাকা যায়।
আকস্মিক জটিলতাগুলোর জন্য আগে থেকেই বিকল্প রাস্তা বের করে রাখা জরুরি। বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাঝে এমন সময় আসা খুবই স্বাভাবিক যখন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবে না। এই বিষয়গুলোকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে সেগুলোর প্রতিটির জন্য একটি বিকল্প নিরাপদ পন্থা বের করে রাখতে হবে। এর জন্যও কিছু জরুরি তহবিল রাখা বাঞ্ছনীয়।
স্প্রেডশিটযুক্ত (এক্সেল) মোবাইল বা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই পদক্ষেপটি সহজেই নেওয়া যায়। এই সফ্টওয়্যার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এগুলো রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং প্রযুক্তি সম্পন্ন, অর্থাৎ তাৎক্ষণিক নিজের তৈরি করা বাজেটের ওপর চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়। ফলে শুধু পরিকল্পনাই নয়, সে অনুযায়ী অ্যাকশন প্ল্যানগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সেদিকেও খেয়াল রাখা সম্ভব হয়। প্রতিটি ব্যয়ের খাতের জন্য মাসিক আয়ের যে শতাংশ বরাদ্দ ছিল, সেই সীমা অতিক্রম করছে কিনা তা নজরে আসে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করার পদ্ধতি
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচ কমানো
প্রয়োজনীয়তার মাত্রার নিরিখে প্রতি মাসের জন্য অবধারিত খরচগুলোর শ্রেণিবিন্যাস করা উচিত। এগুলোর মধ্যে কিছু থাকে যেগুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না, যেমন: বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল। আবার এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিলও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহার কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং এনার্জি সেভিং যন্ত্রাদি ব্যবহারের মাধ্যমেও খরচ অনেকটা কমে আসে।
পুনরাবৃত্তিমূলক খরচের কিছু খাত রয়েছে যেগুলো মূলত জীবনধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেমন ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট বিল, ফোন বিল, ওটিটি সাবস্ক্রিপশন এবং জিমের সদস্যতা। সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে এক বা একাধিক পরিষেবা বাদ দিয়ে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
বিশেষ করে আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখা যায়। সেক্ষেত্রে ক্যাবল টিভি ও ওটিটি বিলের পুরোটাই বাদ দেওয়া যায়। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা হলে ফোনের বিলের ওপর থেকেও চাপ কমে যাবে।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
তাছাড়া নিতান্তই বাদ দেওয়া সম্ভব না হলে ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে বা দর কষাকষির মাধ্যমে কম খরচের পরিষেবা নেওয়া যেতে পারে।
কৌশলগত বিনিয়োগ
বিনিয়োগ আসলে সঞ্চয়ের কোনো প্রত্যক্ষ উপায় নয়। কিন্তু এই বিচক্ষণ কার্যক্রমটির পথ ধরে আসে সঞ্চয়ের সুযোগ। সঞ্চয়পত্র বা সরকারি বন্ডের মতো তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করা হলে সঙ্গতিপূর্ণ রিটার্ন দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা আনে।
ঝুঁকি বেশি থাকা খাতগুলোর মধ্যে স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ড বা এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড দিয়ে সর্তকতার সঙ্গে বিনিয়োগ পোর্টফোলিও গড়া যেতে পারে। এগুলো সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে টেক্কা দিতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। মোটা দাগে বলতে গেলে, এ বছরের শুরু থেকে সঞ্চিত ১০০ টাকা নতুন বছরে গিয়ে হয়ে যাবে ৮৮ টাকা। ফলে ১০০ টাকা দামের কোনোকিছু কিনতে গেলে তার সঙ্গে আরও ১২ টাকা যুক্ত করতে হবে। তাই কমপক্ষে ১৩ শতাংশ রিটার্ন দেওয়া কোনো খাতে বিনিয়োগ করা হলে প্রাপ্ত মুনাফা থেকে লেনদেনের পরও ১ টাকা সঞ্চয় হিসেবে থেকে যাবে।
এভাবে সুচিন্তিত বিনিয়োগ পরোক্ষভাবে সঞ্চয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে। এছাড়া সরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াতের সুবিধাটিও অর্থ সঞ্চয়ের একটি কার্যকর মাধ্যম।
ডিসকাউন্ট ও ফ্রি অফারে গুরুত্বারোপ
দৈনন্দিন কেনাকাটার সময় মূল্যহ্রাস ও ফ্রি সামগ্রীগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া টাকা বাঁচানোর সবচেয়ে পুরনো ও সহজ উপায়। ব্র্যান্ড, সাধারণ, খুচরা ও পাইকারি-নির্বিশেষে প্রতিটি বিপণী বছরজুড়ে নানা উপলক্ষে ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক বা রিডিমযোগ্য পয়েন্টের ব্যবস্থা রাখে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দৌলতে এগুলো আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থাকার কারণে যাতায়াত খরচ বাঁচিয়ে ঘরে বসেই হ্রাসকৃত মূল্যে কেনাকাটা করা যাচ্ছে। জনপ্রিয় পেমেন্ট গেটওয়েগুলো ব্যবহারেও থাকে মূল্যছাড়ের অফার।
এছাড়া সিজনাল সেলস ও স্টক ক্লিয়ারেন্স ইভেন্টগুলোর প্রতিও নজর রাখা উচিত। সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য এটি সবচেয়ে আদর্শ উপায়।
সর্বদা সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম সহনীয় যতক্ষণ না সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে, ততক্ষণ অপেক্ষা করা উচিৎ। বিশেষ করে সাধারণ মুদিপণ্যের ব্যাপারে এই পদক্ষেপ নিতে হবে। দাম না কমলে তা পরিহার করতে হবে। মৌসুমি সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিৎ।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
যাতায়াতের যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে দর কষাকষি করা উচিত। বর্তমানে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা সর্বত্র বিদ্যমান। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে যতটা সম্ভব কম যাতায়াত করে প্রাত্যহিক কর্ম সম্পাদনের চেষ্টা করা উচিত। একটি ছোট ফোন কল বা হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা সম্ভব, যার জন্য আগে সশরীরে দেখা করার কোনো বিকল্প ছিল না।
এই কার্যক্রমগুলো প্রতিদিনের যাতায়াত খরচকে অল্প অল্প করে কমিয়ে দেয়। অথচ সপ্তাহ ও মাসের হিসাবে এগুলোই খরচের বোঝাও ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করে।
এই পন্থাগুলো মূলত জীবনধারণ পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত করে। পরিমিত বাজেট অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে সঞ্চয়ের অভ্যাসের জন্য মনকে প্রস্তুত করাও জরুরি।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
২০২৫ সাল আসতে আর বেশি দেরি নেই। প্রত্যেকের আর্থিক জীবনপ্রবাহেও পড়বে নতুন বছরের প্রভাব। তাই এখন থেকেই ব্যয়ের বাজেট প্রণয়ন ও সঞ্চয় বৃদ্ধির বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।
শেষাংশ
সঞ্চয় বৃদ্ধির উল্লিখিত কৌশলগুলোকে সমন্বয় করা মূলত আর্থিক স্থিতিশীলতারই নামান্তর। বাজেট প্রাথমকিভাবে আর্থিক স্বচ্ছতার ভিত্তি স্থাপন করে। পুনরাবৃত্তিমূলক খরচগুলো কমানো গেলে তা দিন শেষে অতিরিক্ত সঞ্চয়ের জন্যই জায়গা তৈরি করে।
এছাড়া, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো কৌশলগত বিনিয়োগ। ডিসকাউন্ট, ফ্রি অফারের পাশাপাশি যেকোনো কাজে সাশ্রয়ী বিকল্প পন্থা অবলম্বন অনাকাঙ্ক্ষিত চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদ্ধতিগুলো বাজেটবান্ধব জীবনধারণের প্রতি তাগিদ দেয় যেখানে থাকবে না ঋণের দুশ্চিন্তা ও অপ্রাপ্তির বিড়ম্বনা।
৮৪ দিন আগে
সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া: বুবলি
একসময় শাকিব খান ছাড়া বড়পর্দায় দেখা যেত না শবনম বুবলিকে। আর সেই চিত্রনায়িকা এখন ঢালিউডের অন্যতম ব্যস্ত তারকা।
ব্যক্তিগত বিভিন্ন চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও ক্যারিয়ারে অটল রয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে আরও ভালোভাবে তার প্রমাণ দেন বুবলি।
বুবলির নতুন বছরটা শুরু হলো নতুন এক খবর দিয়ে। কলকাতার সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। নাম ‘ফ্ল্যাশব্যাক’।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ে হবু বরের সঙ্গে পরিচয় মৌসুমীর
টলিউডের সিনেমা হলেও এর পরিচালক বাংলাদেশের রাশেদ রাহা ও গল্প লিখেছেন বাংলাদেশের খাইরুল বাশার নির্ঝর।
আর এতে আরও অভিনয় করবেন কৌশিক গাঙ্গুলি, সৌরভ দাস।
‘ফ্ল্যাশব্যাক’ সিনেমার কলকাতার অংশের কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি শুটিং হবে ডুয়ার্সে।
প্রথমবার টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নিয়ে বুবলি গণমাধ্যমে বলেন, ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আমার প্রথম ছবি। এতে সহশিল্পী হিসেবে আছেন কৌশিক গাঙ্গুলি স্যার ও সৌরভ দাস দাদার মতো অভিনেতা। এমন একটি ছবিতে কাজের মাধ্যমে বছর শুরু হওয়া সৌভাগ্যের। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে বিশেষ কিছুই হতে যাচ্ছে। সিনেমাটি নতুন বছরের অনন্য পাওয়া।’
আরও পড়ুন: গাঁটছড়া বাঁধলেন অর্ষা-নূর
বুবলি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও এখানকার মধ্যে বড় মিল হলো ভাষাগত। যদিও আমাদের একই ভাষা কিন্তু দুই বাংলাতেই মিষ্টি-দুষ্টু একটা ভাব আছে। আর ভালোবাসাটা ভাগাভাগি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ-কলকাতায় আমরা মিলেমিশে একাকার। ঢাকা থেকে কলকাতা আসতে ৩০-৪০ মিনিট লাগে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে ব্যারিকেড, নিয়ম-কানুন, ভিসা- এতো কিছু না থেকে যদি অবাধ যাতায়াত হতো তাহলে মনে হয় আরও বেশি ভালো হতো। অবশ্য এটাতে কিছু করার নেই। কারণ, দেশের জায়গা থেকে মেইনটেইন করতে হয়। তবে দুই ইন্ডাস্ট্রির আবেগ ভালোবাসা শেয়ার হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘মায়া: দ্য লাভ’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’সহ এ বছরে মুক্তির অপেক্ষায় বুবলির বেশ কয়েকটি সিনেমা।
আরও পড়ুন: 'টপ গান থ্রি' নির্মাণ হচ্ছে কি?
৪৩২ দিন আগে
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকার বাতাস বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেও সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ২৫৬ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা।
একিউআই অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ঢাকার বাতাসকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
ভারতের কলকাতা ও দিল্লি এবং পাকিস্তানের করাচি যথাক্রমে ২৫০, ২০৬ এবং ১৯৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
এদিকে, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস নিয়ে ঢাকার নতুন বছর শুরু
৪৪৫ দিন আগে
নতুন বছর হবে অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতিপূর্ণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নতুন বছরে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশের প্রত্যাশা করেছেন।
শুক্রবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সিলেটে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই নতুন বছর হবে সম্প্রীতি ও সহনশীলতার। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ অর্জন করব।’
আসন্ন সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, ‘সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তবে এটা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা জনগণ ও সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।’
সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সিলেটে বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়। এ সময় সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রুতি সিলেট, আনন্দলোক, চরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পাঠশালা, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ ও ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী
'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
৭০৮ দিন আগে
নতুন বছরে ঢাকার সিনেমায় নাসিরুদ্দিন শাহ
ঢালিউডের সিনেমায় এবার দেখা যাবে বলিউডের নক্ষত্র অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহকে।
অমিত আশরাফ পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটির শিরোনাম ‘প্রজেক্ট অমি’। আর প্রযোজনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কাজী প্রোডাকশনস হাউস ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ প্রযোজক জেনি ওয়াকার সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। জেনি বিবিসি, চ্যানেল ফোরের জন্য প্রামাণ্যচিত্রসহ বিভিন্ন প্রযোজনা তৈরি করেছেন।
এরই মধ্যে নাসিরউদ্দিন শাহ সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেঙ্গল শিল্পালয়ে ৫ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব
সিনেমাটির বিষয়ে অমিত আশরাফ বলেন, ‘সিনেমার গল্প ও চরিত্র দেখে নাসিরউদ্দিন সাহেবের বেশ পছন্দ হয়েছে। শুটিংয়েরও শিডিউল দিয়েছেন। আশা করছি নতুন বছরে শুটিং শুরু করব। এর মধ্যে বাকি শিল্পীদের চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমানে শিল্পী নির্বাচনের জন্য অডিশন চলছে।’
২০৫০ সালকে ঘিরে ‘প্রজেক্ট অমি’ সিনেমার গল্প। একজন হ্যাকার ও একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট একটি ভার্চুয়াল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রোবট তৈরি করেন। যার নাম অমি। অমি ডার্ক ওয়েবের ভার্চুয়াল সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করেন। এভাবেই গল্পটি এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন-রাজীবের প্রেমের গুঞ্জন সত্যি হলো!
বাংলাদেশি প্রযোজক হিমেল তারিক বলেন, ‘প্রজেক্ট অমি’ সিনেমার জন্য ওপেন কাস্টিংয়ের সুযোগ রয়েছে। কেউ সিনেমাটিতে অভিনয় করতে চাইলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অথবা প্রধান সহকারী পরিচালক শেখ আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই হবে।
১১৮৯ দিন আগে
বড়দিন, নতুন বছর উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সোমবার জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
১৫৫২ দিন আগে
ডেঙ্গুর প্রকোপ নতুন বছরেও কমেনি, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৭
নতুন বছরে এসেও এডিস মশাবাহীত ডেঙ্গুর প্রকোপ কমেনি। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি।
১৯০৬ দিন আগে
নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়ার অপেক্ষায় চাঁদপুরের ৬ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী
নতুন বছরের প্রথমদিন বুধবার (১ জানুয়ারি) বই উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। আর এ উৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকরা।
১৯০৮ দিন আগে