ভোর ৪টার দিকে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান তার বড় ছেলে ডা. শাকিল গফুর।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি ও মতলবের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল ডা. গফুরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ডা. গফুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
বাদ জুমা পৌর ঈদগাহে জানাজা শেষে বাসস্ট্যান্ড গোর-এ-গরিবা কবরস্থানে এ ভাষাসৈনিককে দাফন করা হয়।
চর কোরালিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ডা. গফুর ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। তিনি এম এ ওয়াদুদ, ওলি আহাদ, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, নুরুল হক ভুইয়া, ভাষা মতিন গংদের সাথে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চর কোরালিয়ায় তার বাড়ি পুড়িয়ে দেয় পাকিস্তান দখলদার বাহিনী।
তার স্ত্রী মরহুম প্রফেসর মাহমুদা খাতুন ছিলেন জেলার মতলব উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামের মরহুম শাহেদ আলী পাটওয়ারীর (তৎকালীন সংসদের স্পিকার) কন্যা।
তার বড় ছেলে ডা. শাকিল গফুর রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক পদে এবং ছোট ছেলে ড. শায়ের গফুর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন।