কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলায় ডাকাত দলের সদস্য সন্দেহে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার চারদিনেও থানায় কোনও মামলা হয়নি।
এছাড়া এই ঘটনায় আহত আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার বলেছেন, যাচাই বাছাই করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, আহত ১
জানা যায়, ১২ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাত সন্দেহে তিন যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয় পালাসুতা গ্রামবাসী।
এতে মৃত্যু হয় ইসমাইল ও নুরু নামের দুই জনের, গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শাহজাহান নামে আররও একজন।
অভিযুক্ত শাহজাহান জানান, কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন মুরাদনগর। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে গ্রামবাসী জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় গ্রামের মসজিদ ও ওয়াজ মাহফিলের মাইকে গ্রামে ডাকাত এসেছে বলে ঘোষণা দেয়া হলে লোকজন একত্রিত হয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে।
স্থানীয় দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান জানালেন, ঘটনাটি ডাকাতির-নাকি আতংক তৈরি করতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিশ্চিত নয়। তবে সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা পর্যবেক্ষণে যান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান।
তিনি জানান, গণপিটুনিতে দুইজন মৃত্যুর ঘটনাটির রহস্য দ্রুত বের হয়ে আসবে।
এছাড়া ঘটনার ৪ দিন পার হলেও মামলা করেনি কেউ।
পুলিশ বলছে, আরও তদন্তের পর ব্যবস্থানেয়া হবে।