করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় দিকে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট পরিচালক ফারুক আহমেদ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: দেশে আন্তর্জাতিক মানের ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
একই সময়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এই প্রসঙ্গে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে থেকে ১১৫ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। যারা এই হাসাপাতালে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেও টিকা পায়নি। ১১৫ জনের মধ্যে যারা আসবে তাদের সবাইকেই এই টিকা দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাইডেন রাজত্বের ১৫০ দিনে ৩০ কোটি টিকার মাইলফলক
এর আগে গত রবিবার স্বাস্থ্য বুলেটিনে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
টিকাদান কার্যক্রমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একাধিক কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
যাদের টিকা নেয়া বারণ
যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা হিসেবে ‘ব্লাড প্লাজমা’ কিংবা ‘মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি’ নিয়েছেন বা এখনও নিচ্ছেন তাদের করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া উচিত হবে না।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যারা ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন তাদের শারীরিক যেকোনো অস্বস্তির দিকে সতর্ক নজর থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো ‘অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন’ দেখা দিচ্ছে কি না। যেকোনো অস্বস্তি, তা যত সামান্যই হোক, চিকিৎসককে জানাতে হবে। পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া যদি দেখা দেয় তবে শুরুতে ঘাবড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। জ্বর, অবসাদ, ব্যথা, চুলকানি ইত্যাদি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়া কথা ইতোমধ্যেই জানা গেছে। আর এসবই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় টিকার প্রতিক্রিয়া, যাতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা দান কার্যক্রম শুরু করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা টিকা দিয়ে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকার ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কেনার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭০ লাখ ডোজ দেয়ার পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি।
এ অবস্থায় অন্য দেশ থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আর ফাইজারের কিছু টিকা পাওয়া গেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।