তাদের কাছ থেকে এ সময় ফ্রান্সে উৎপাদিত সাপের বিষের ছয়টি কাচের জার, ছয়টি মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাভারে র্যাবের অভিযানে জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের সদস্য আটক
আটকরা হলেন মো. মাসুদ রানা (২৪), মো. ছফির উদ্দিন শানু (৫০), মো. তমজিদুল ইসলাম মনির (৩৪), মো. আলমগীর হোসেন (২৬), ফিরোজা বেগম (৫৭) ও আসমা বেগম (৪২)।
শুক্রবার র্যাব-২-এর সিনিয়র এএসপি আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাব ওপুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই: আটক ৩
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের কয়েকজন সদস্য পাচারের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ নিয়ে দক্ষিণখানের গুলবার মুন্সি সরণি এলাকায় অবস্থান করছেন বলে বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পায় র্যাব-২। পরে সেখানে অভিযান চালালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘গোল্ডেন মনিরের ’ বিরুদ্ধে র্যাবের ৩ মামলা
সিনিয়র এএসপি মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বিষ পাচারের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন। কিন্তু তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে কাচের জারে রক্ষিত অবস্থায় ৮.৯৬ কেজি (জারসহ) সাপের বিষ পাওয়া যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ কোটি টাকা।
এছাড়াও তাদের সাথে থাকা সাপের বিষ সংক্রান্ত ডিভিডি এবং ম্যানুয়াল বই উদ্ধার করা হয়।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে সাপের বিষের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক মুনাফার লোভে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে তা সংগ্রহ করে চোরাচালান করে আসছেন তারা। আটকরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক সাপের বিষ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ‘ জঙ্গি আস্তানায় ’ র্যাবের অভিযান সমাপ্ত
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এবং এগুলো যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।