রাজধানীর মন্দির ও অস্থায়ী পূজামণ্ডপগুলোতে দুর্গোৎসবের জোর প্রস্তুতি চলছে। এবার রাজধানীতে ২৫৭টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ (বিপিইউপি)।
সংগঠনটি জানায়, ঢাকায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, বনানী, কলাবাগান, শাঁখারিবাজার, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ফার্মগেটের খামার বাড়ি এবং পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার ও তাঁতিবাজারসহ ঢাকার ২৫৭টি মণ্ডপে পূজা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুত ৯৯১টি মণ্ডপ
কারিগররা প্রতিমার চূড়ান্ত রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের প্রধান প্রধান বাজার এবং শপিং মলগুলোতে চলছে পূজার কেনাকাটা।
গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বড় বড় বিপণিবিতান, শপিং মল ও দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
পূজার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজারের ঐতিহ্যবাহী দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে শঙ্খের খোল, প্রতিমার কাপড়, ঘণ্টা, হাঁড়ি, মঙ্গল প্রদীপ, আগরবাতি, দেবতার মালা, মুকুট, শাড়ি, ধুতি, পাঞ্জাবি ও অন্যান্য অলঙ্কার বিক্রি চলছে পুরোদমে।
এদিকে, দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজধানীর পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে কেন্দ্রীয় পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা
শনিবার বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘এ দেশে সবার সম অধিকার রয়েছে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এরজন্য যা যা দরকার, করা হবে।’
নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মাঠে আছি। আপনারা নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন। আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ চাই, যেখানে আপনারা সবাই পূজা উদযাপন করতে পারবেন।’
দুর্গাপূজায় রবিবার থেকে সারা দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি পূজামণ্ডপে ২ লাখ ১২ হাজার ১৯২ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সীমান্তে কড়া নজর থাকবে বিজিবির।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ১০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি