মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সেদেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আহ্বা জানান। এসময় তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।
মিয়ানমারের ‘উদ্যোগের অভাব’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘অপর্যাপ্ত পদক্ষেপের’ কারণে গত চার বছরে কোন প্রত্যাবাসন না হওয়ায় বতর্মানে কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ভাসানচরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধপরবর্তী দেশ গঠনে রাশিয়ার অবদান বাংলাদেশ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। স্বাধীনতার পরপরই তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালের মার্চ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়া সফর করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য রাশিয়ার সরকার এবং জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে রাশিয়ার আগ্রহের কথা রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পুনঃব্যক্ত করলে উভয় দেশই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার আশা ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার মিয়ানমার প্রবাসী সরকারের