ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ রাজধানীর ব্রাক সেন্টার ইনে একটি বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মিয়ানমার মনে করে এই তিনটি দেশ তাদের পকেটে রয়েছে।’
তিনি মনে করেন, যদি মিয়ানমার দুটি কাজ করে তাহলে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান হবে এবং রাখাইনে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন হবে। কাজ দুটি হলো- বিদ্যমান আইন সংশোধন করা এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি চীন, জাপান ও ভারতের নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করে রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ মিয়ানমারের সাথে পাঁচটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, প্রযুক্তিগত এবং ভূ-রাজনৈতিকের ওপর গভীরভাবে কাজ করার বিষয়ে জোর দেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে কারা বিনিয়োগ করছে, কারা নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করছে এবং লাভজনক ব্যবসা করছে তা চিহ্নিত করা দরকার।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, এই প্রক্রিয়ায় বিশ্ব জানতে পারবে যে কারা ‘গণহত্যার’ সাথে জড়িত দেশটির সাথে ব্যবসা করছে।
তিনি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গায়ক, কবি, নাগরিক সমাজের সদস্যদের জাগিয়ে তোলার উদ্যোগও চেয়েছেন যাতে তারা রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলতে পারেন।
এই বিশেষজ্ঞ পুনরায় উল্লেখ করেন যে মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে মোটেই আন্তরিক নয়। ‘মিয়ানমার এখন পর্যন্ত কেবল নাটক করেই চলেছে।’