তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হলেও তাদের আন্তরিকতার অভাবের কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যাচ্ছে না। তারা (মিয়ানমার) একটার পর একটা ইস্যু নিয়ে আসায় গত সাড়ে ৩ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নিয়ে যায়নি।’
সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি চিংলা মং মারি ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে পররাষ্টমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিরে দেখা ২০২০: রোহিঙ্গাদের জন্য যন্ত্রণার আরও এক বছর
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সাথে পূর্বে কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের নির্বাচন এবং কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে আর কোনো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি।’
‘তবে আগামী ১৯ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে পুনরায় আলোচনার দিন নির্ধারণ রয়েছে,’ বলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ভারত সরকার বার বার অঙ্গিকার করেছে, তারা যখনই ব্যবহার (ভ্যাকসিন) করবে বাংলাদেশও সাথে সাথে সেই ভ্যাকসিন পাবে। এটা ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় দেশগুলোর সিদ্ধান্ত কৌশলগত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশের সাথে ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতকে বিশ্বাস করতে চাই, ভারতের সাথে এই ব্যাপারে বার বার আলোচনা হয়েছে, তারাও আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে।’
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পররাষ্টমন্ত্রী। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিন পার্বত্য জেলায় বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন এই উৎসবের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর জোরপূর্বক নয়: ঢাকা
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনে সভাপতি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো ইফতেখারুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম নিজামী, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ. কে. এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কর্তৃপকক্ষের দেয়া তথ্য অনুসারে, অ্যাডভেঞ্চার ফেস্টিভলে রয়েছে পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিং, ট্রেজার হান্ট, ট্রেকিং, ক্যানিওনিং, ট্রি ট্রেইল, রোপ কোর্সসহ বিভিন্ন ইভেন্ট।
বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব প্রতিযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় হতে ৫০ জন ও সমতল থেকে ৫০জন সর্বমোট ১০০জন, যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অ্যাডভেঞ্চারার বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি চিংহ্লা মং মারী ষ্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।