পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিলুপ্তপ্রায় শিকারি পাখি শকুন রক্ষায় এশিয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
শকুন খুবই দক্ষ শিকারি এবং প্রায়ই মৃহদেহের ওপর নেমে আসে। তাদের খাবার কোথায় আছে তা শনাক্ত করার ‘চিত্তাকর্ষক ক্ষমতা’ আছে শকুনের। অর্থাৎ একটি বিষাক্ত মৃহদেহ অনেকগুলো পাখিকে মেরে ফেলতে পারে। এই বিষাক্ততাই এই জাতীয় পাখিগুলোর বিলপ্তির প্রধান কারণ।
সরকার ২০১০ সালে গবাদি পশুর জন্য ব্যাথানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করেছে। পশুর মৃহদেহ খাওয়ার পর শরীরে এই ওষুধ প্রবেশ করার পর চরম ব্যাথায় শকুনের মৃত্যু হয়।
ডাইক্লোফেনাকের বিকল্প হিসেবে নিমেসুলাইড, এসিক্লোফেনাক ও কেটোপ্রোফেনের ব্যবহারও পাখির মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তাই সরকার কেটোপ্রোফেন ব্যবহারও নিষিদ্ধ করেছে।
পড়ুন: বিলুপ্তপ্রায় শকুন সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
শাহাব উদ্দিন বলেন, শকুন রক্ষার বড় পদক্ষেপ হিসেবে তুলনামূলক নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিকাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২ এর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের শকুন রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন, দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং দশ বছরের (২০১৬-২০২৫) বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্ম পরিকল্পনা একটি দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে।