দেশে সক্ষমতার চেয়ে বেশি সংখ্যক নিবন্ধনের কারণে টিকার এসএমএস পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি নিবন্ধন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সমাধান করতে কিন্তু বাস্তবতা হলো একটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা এক দিনে দেয়া যায়। তার চেয়ে বেশি টিকা দিতে গেলে হয়তো আমাদের অনেক কিছু আপোস করতে হবে। সেখানে স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি আছে। সেগুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা আশার বাণী শোনাতে পারবো।’
অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, গত সাত দিনে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে আছে। এই ধারাটি অব্যাহত থাকুক তাহলে আমরা খানিকটা স্বস্তিতে থাকতে পারি।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ দিনে সংক্রমণ নিম্নমুখী আছে। সেটি ধরে রাখার জন্য আমাদের আরও বেশি সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। গত চার দিন ধরে শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে আছে। আমাদের প্রত্যাশা, এটি আরও কমে গেলে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার কাজটি সহজ হবে।’
টিকা উৎপাদন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিনোফার্মের সঙ্গে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের যে চুক্তি হয়েছিল-বাংলাদেশে টিকা প্রক্রিয়াজাত হবে সেই কাজ চলছে। তারা সময় চেয়েছিলেন, তিন মাসের মতো সময় লাগবে পুরো কাজ গুছিয়ে আনতে। আশা করছি তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পাব।’
অধিদপ্তরের মুখপাত্র জানান, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩২০ জন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ২৯২ জন আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ২৮ জন।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেলেই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা শুরু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী