সদরঘাটে লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে পা হারানো কবির হোসেনকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আলী আজগর খালাসীসহ মোট ৮ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সদরঘাটে লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে পা হারানো খিলগাঁওয়ের মো. কবিরকে চিকিৎসা ও মানসিক ক্ষতি বাবদ এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৯ জুন বুধবার হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী তানভীর।
তার আগে ১৮ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘‘এই সংসার চলবে কী করে : লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো কবিরের স্ত্রী’’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি সংযুক্ত করে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির হোসেন। ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। অপেক্ষার পর পূবালী-১২ নামের এক লঞ্চ ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ পন্টুনে। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাম পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হলো ওই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পড়ুন: এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত: আসামিদের গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট