শেরপুরের শ্রীবরদীতে বন্যহাতি হত্যার ঘটনায় বন আদালতে দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই মামলার চার আসামির মধ্যে কৃষক সমেজ উদ্দিন (৪৪) এবং মো. শাহজালাল (৪১) রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বন আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে।
আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরিফুল আলম খান তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর দুই আসামি সমেজ উদ্দিন ও মো. আশরাফুল পলাতক রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার দুইজনকে জেলা কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বনবিভাগের মামলায় এজাহারে তাদেরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। হাতি হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত নয়, ওই ঘটনার সঙ্গে আমার মক্কেলদের সম্পৃক্ততা নেই। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালতের সমন পেয়ে আমরা স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছি।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে আরেকটি মৃত বন্য হাতি উদ্ধার
গত বছরের ৯ নভেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার মালাকোচা এলাকার সোনাঝুড়ি টিলায় বনবিভাগের জমিতে অবৈধভাবে সব্জীর আবাদ করা জমিতে জিআই তার দিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের সংযোগ দেয় স্থানীয় কৃষকরা। রাতে হাতির দল খাবার সন্ধানে আসলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি বন্যহাতি মারা যায়। এ ঘটনায় বনবিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় প্রথমে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। পরে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জিআই তারে জড়িয়ে বিদ্যুতায়নের ফলে হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে হাতি হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। বালিজুড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বাদী গত বছরের ১১ নভেম্বর বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর তফসিল ১ এর বিধি লংঘন করায় ৩৬ ধারায় চার জনের নামে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বন আদালতে চার জনকে আসামি করে হাতি হত্যার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ