রেলপথ মন্ত্রী নূরল ইসলাম সুজন বলেছেন, হিলি ও লালমনিরহাটের রেল ও সড়ক পথ ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
তিনি বলেন, ভারত তাদের আসামসহ সেভেন সিস্টারের সঙ্গে রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের হিলি ও লালমনিরহাট ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। এতে করে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশই লাভবান হবে। আমরা এই বিষয়টি ভেবে দেখছি।
শুক্রবার বেলা আড়াইটায় বিরামপুর রেলস্টেশনে নির্মাধীণ ইয়ার্ডের জায়গা ও রেলস্টেশনের নতুন ভবন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শননে এসে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাছ আলী সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের সব রেলপথকে ডাবল লাইনে করা হবে। সরকার এই লক্ষ্যে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। যাত্রী সেবার মান ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ট্রেনের আরও বগি বাড়ানো হবে। রেলের আরও অনেক অনেক সংস্কার কাজ করা হবে। সকল রেলস্টেশনকে আধুনিকায়ণ ও নতুন রেলপথ নির্মাণ করা করা হবে। যার প্রমাণ হিসেবে বিরামপুর রেলস্টেশনে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে: রেলমন্ত্রী
হিলি রেলস্টেশন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে ইয়ার্ড ছিল। ফলে যেখানে পণ্য লোড-আনলোড করা হতো। কিন্তু ভারতের বর্ডারের কাছে হওয়ায় পণ্য লোড-আনলোডে তারা আপত্তি দিয়েছে। একারণে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ থাকায় সেখান থেকে সরিয়ে বিরামপুর রেলস্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে। এরফলে এখন থেকে পরিবহনের মাধ্যমে ট্রেনের মালামাল দেশের সব জায়গায় পণ্য পাঠানো যাবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনা ঘটার কারণে কিন্তু হিলি রেলস্টেশনের কিছু কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখব চলমান কাজ কেন বন্ধ হয়ে গেল। যদি ভারতের দিক থেকে আর কোন আপত্তি না থাকে বা আমাদের দিক থেকে যেসব ঘটনার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই সমস্যাগুলো যদি আর না থাকে তাহলে আমরা চেষ্টা করব সেখানে স্টপেজ বাড়ানোর। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে নতুন কোন ট্রেনের স্টপেজ দেয়া হবে না। তবে পশ্চিমপাশ থেকে পূর্বপাশে স্টেশন সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিরামপুর রেলস্টেশনে ইয়ার্ড নির্মাণ ও রেলস্টেশনের ভবণ নির্মাণ কাজ চলছে। যা ইতোমধ্যে রেলস্টেশনটির ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন এ বছরই চালু হবে: রেলমন্ত্রী