রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন চালু হবে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী বন্ধ থাকা ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া রেল যোগাযোগ পুনরায় চালুকরণ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধনে ‘সংশয়’ রেলমন্ত্রীর
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার। সরকার সুবিধা বৃদ্ধি করে। কোন সুবিধা কমায় না।
রেলকে একসময় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন এবং রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। রেল সাধারণের বাহন হিসেবে যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি এ সময় স্থানীয় নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এ মাসেই কন্সালট্যান্সি নিয়োগের চুক্তি হবে।
আরও পড়ুন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: রেলমন্ত্রী
সবক্ষেত্রেই রেলকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ হচ্ছে, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেয়া হয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন হলে রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হবে।
রেলমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, বর্তমানে লোকবল সঙ্কট রয়েছে যে কারণে সঠিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না । একসময় রেলওয়েতে ৭৮ হাজার লোকবল ছিল। বর্তমানে ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। নতুন নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। নতুন লোক নিয়োগ দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামীতে ২০ থেকে ২৫ হাজার লোক নিয়োগ দেয়া হবে বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন। সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ করা হবে বলেও মন্ত্রী জানান।
আরও পড়ুন: খুলনার সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক, তদন্ত কমিটি গঠন
মতবিনিময় সভায় সিরাজগঞ্জ সদর- কামারখন্দের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান বক্তব্য দেন। এ সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদত হোসেন, পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।