রবিবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো-হলের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থানরত ছাত্রদের বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান, গেরুয়ায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা, হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান।
আরও পড়ুন: হল খুলে দিতে রাবি শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
হল খোলার দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে গেরুয়ার স্থানীয়দের সংঘর্ষের জেরে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট কয়েক দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং গেরুয়ায় সীমানা প্রাচীরসহ গেট নির্মাণের দাবি মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ থাকায় শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার দাবির সাথে একমত জানায়নি।
এতে হলের তালা ভেঙে ছাত্ররা হলে অবস্থান নিলেও ছাত্রীদের হলে পুনরায় তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে গেরুয়ায় স্থানীয়রা খাবারের দোকানে খাবার সরবরাহ এবং খাবারের পার্সেল সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে বলে গেরুয়ায় অবস্থান নেয়া কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।
এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি গ্রামের বাসিন্দাদের আক্রমণে আহত হয়।
আরও পড়ুন: জাবির আবাসিক হল গেটে ফের তালা
ফটক ভেঙে হলের দখল নিচ্ছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
সড়ক অবরোধ তুলে নিলেও দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ববি শিক্ষার্থীদের
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, একটি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গেরুয়া বাজারে শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। এরপর ওই এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং এরপর দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।