অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বাজেট-পরবর্তী অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকও অংশ নেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল দেশের মানুষকে বাঁচাতে ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি করোনাভাইরাস দেশে আর বেশি দিন থাকবে না এবং আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারব। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশের মানুষদের প্রথমে আমাদের বাঁচাতে হবে। এখন আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে এবং আরও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কেননা কোভিড-১৯ এর প্রভাবের কারণে অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছেন।’
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, নন-এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা, আর নন-ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধিারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের পরে কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা নতুনভাবে কৃষি খাত তৈরি করতে চাই। মূলত, দেশে খাদ্য সরবরাহ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে আমাদের বিপুল পরিমাণের অর্থের প্রয়োজন হবে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে করতে পেরেছি। তাই, আশা করি এ বছরও আমরা জিপিডি প্রবৃদ্ধি পাব। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা ৪৯তম বাজেট ঘোষণা করেছি। তবে, কোভিড-১৯ এর কারণে এ বছরের বাজেট অন্যান্য বছর থেকে আলাদা। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় বাজেট ঘোষণার আগে আমাকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।’