প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছেন ‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসবাসকারী বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে অন্তত দুজনকে আমরা চিহ্ণিত করতে পেরেছি। মুজিব বর্ষ পালনের সময়ই আমরা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচন প্রস্তুতিমূলক কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ‘মুজিব বর্ষ’ পালিত হবে।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত দুই খুনি নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরী যথাক্রমে কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
‘আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতির পিতার হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাসে অন্তত একবার বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য আহ্বান জানান তিনি। সেখানে ‘খুনি, আপনাকে দেশে ফিরতে হবে’ এই বলে তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে ড. মোমেন আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার দু’জন পলাতক যুদ্ধাপরাধীকে সনাক্ত করেছে যারা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে। এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য দায়ী ছিল।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চৌধুরী মইন উদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামান খানকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়েকশ বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা এবং তা কার্যকর করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।’ ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফিরে আসার পরই আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দশ বছরে দারিদ্র্য হ্রাস, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছেন।
এসময় আয়োজকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে পুন:নির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই।