চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা ঘটনায় প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে তারা তাদের বক্তব্য প্রকাশ করছেন।
চিত্রনায়ক জায়েদ খান ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি সবার সামনে এমন নোংরা কথা বলতে হবে। শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামি শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু ও তার ভাই দুজনেই শিল্পী সমিতির সদস্য। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
অভিনেত্রী অঞ্জনা লিখেন, ‘নায়িকা শিমুকে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে কেরানীগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। অযথা শিল্পী সমিতির বিপক্ষে যারা শিমুর বাসায় গিয়ে বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলেছেন তাদের শাস্তি প্রয়োজন। কেননা প্রমাণ ছাড়া একজনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠানো শতভাগ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা শিমুর মৃত্যু: স্বামীসহ আটক ২
শিমুর লাশ উদ্ধারের পর শিল্পী সমিতি থেকে তার পদ স্থগিত করার প্রসঙ্গটিও বারবার উঠে আসছেন। কিন্তু এর সঙ্গে চিত্রনায়িকার হত্যাকাণ্ডের কোনো সংযোগ নেই বলে ফেসবুক পোস্টে আরও উল্লেখ করে অঞ্জনা লিখেন, ‘১৮৪ জনের সদস্যপদ কী শুধু জায়েদ খান স্থগিত করেছে? উপদেষ্টা কমিটি এবং সমগ্র কার্যকরী পরিষদ তাতে অবগত ছিল। যা করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে। এখন যদি কেউ সেটা অস্বীকার করে তাহলে কী বলার থাকবে না। কিন্তু তারা যে সিগনেচার করেছে এটা তো মিথ্যা নয়।’
ওমর সানী ফেসবুকে লিখেন, ‘শিমু অনেক ছবিতে অভিনয় করেছে, আমাদের বরিশালের মেয়ে, তাকে হত্যা করা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। প্রকৃত খুনিকে তারাই বের করবে। কিন্তু এর আগে কারো নাম বলা দণ্ডনীয় অপরাধ, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
অভিনেত্রী শাহনূর লেখেন, ‘রাইমা ইসলাম শিমু আমাদের চলচ্চিত্রে বহু ছবির নায়িকা। তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে কেরানীগঞ্জের আলীপুর গ্রামের ব্রিজের পাশে ফেলে রেখেছিল। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি আমিন।’
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক ১৯৯৮ সালে। প্রথম সিনেমা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’। পরবর্তীতে প্রায় অর্ধশত সিনেমা ও অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।