সুনামগঞ্জে খাল, বিল ও জলাশয় ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে সহজেই মিলছে না দেশীয় প্রজাতির মাছ। এ অবস্থায় জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খনন কাজ শুরু করেছে। ফলে আশাবাদী হয়ে উঠছেন হাওরপাড়ের মৎস্যজীবীরা।
জেলায় মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় জলাশয়ের খনন কাজ চলছে। হাওরপাড়ের সরকারি জলাশয়গুলো খননকাজে চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
জেলার সুনামগঞ্জ সদর, জামালগঞ্জ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা ও দিরাইসহ মোট ৬টি উপজেলায় ৪৫টি স্কিমে ২৮টি জলাশয়ের খনন কাজের মধ্যে সিংহ ভাগ জলাশয়ের খনন কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। জলাশয়গুলো খনন করার ফলে হাওরপারের মৎস্যজীবীরা যেমন মাছ সংগ্রহ করতে পারবে অন্যদিকে সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে সুফলতা পাবে।
হাসামেলা চুন্নী গ্রুপ জলমহালের সাধারণ সম্পাদক মহরম আলী বলেন, আমরা জলাশয় খননের কাজ সম্পন্ন করেছি। জলাশয়টি খননের ফলে যেভাবে দেশীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি হাওরের কৃষকেরাও জমিতে পানি দিয়ে উপকৃত হবে।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, আমাদের হাওরের পাশেই পাংগাইয় জলাশয়। জলাশয়ের চারপাশে রয়েছে ২০০ একর জমি। পানির অভাবে অনেক সময় ধান ফলানো যায় না। জলাশয় খনন করার ফলে ফসল ফলানো সম্ভব হবে।
প্রভাষক মো. মশিউর রহমান বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ খালগুলো সংস্কার খুবই প্রয়োজন। সরকারের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানাই।
ভারপ্রাপ্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, জেলার ৬টি উপজেলার ৪৫টি স্কিমের আওতায় ২৮টি জলাশয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি’র খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। জলাশয় খননের ফলে জেলাবাসী সুফল পাবে। দেশীয় মাছ উৎপাদন ও কৃষি জমিতে পানি দেয়াসহ বিভিন্ন উপকারে আসবে।