পণ্য ব্যবসায়ীরা জানান, পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, শুকনো মাছ, রাসায়নিক, মেহগনি বীজ, পোশাক বর্জ্য, সাবান এবং টিস্যু পেপার স্থল বন্দরের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
প্রতি বছর স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা থাকলে রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে।
ভারত, বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের দাবি ভারতের রপ্তানির একটি বড় অংশই এই বন্দরের দিয়ে হয়ে থাকে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রথম থেকে এই পথে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্যে ভারতীয়দের আগ্রহ বেশি থাকলেও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে তাদের আগ্রহ কম।
তিনি আশা করেন, ভারত অংশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও হয়রানি কমলে পণ্য আমদানি-রপ্তানি আরও গতিশীল হবে।
আমদানি-রপ্তানি সমিতির সভাপতি আমিনুল হক বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়া অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশি ট্রাক চালকরা বলেছেন, অভিযোগ থাকলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ট্রাক তল্লাশি করবে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া সব ট্রাক দাঁড় করিয়ে তল্লাশিতে তাদের সময় নষ্ট হয়।
শুল্ক কর্তৃপক্ষের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, বর্তমান কাস্টমস কমিশনারের হস্তক্ষেপে রপ্তানিতে গতি ফিরেছে।
‘ভারত আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে তারা তাদের পক্ষ থেকে ঝামেলা রোধে ব্যবস্থা নেবে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারত অংশে হয়রানি বন্ধে আলোচনায় তারা সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রফতানি হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে রফতানি হয়েছে ১৮ লাখ ৫১ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য।