বেসরকারি সংস্থা গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেখা গেছে। তারা ২৪ জাতীয় দৈনিক, ১২ আঞ্চলিক পত্রিকা ও ১০ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
ইউএনবি শুক্রবার এ প্রতিবেদনের একটি কপি পেয়েছে।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হয়েছে যখন বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকাল মিলিয়ে দেশের পাঁচ জেলায় সড়কে প্রাণ গেছে ২১ জনের। তাদের মধ্যে হবিগঞ্জে একটি দুর্ঘটনায় নয়জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয়জন মারা গেছেন।
জিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয়, আন্তজেলা ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে মূলত বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান বেড়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় জানুয়ারিতে ৪৮৭ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে ৫৪০ জন নিহত হয়েছেন। আর দুই মাসে আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৬২২ ও ৬৭৯ জন।
সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল জানুয়ারিতে ৩৫৭ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৯৮।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জিসিবি ১০ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান বেড়ে যাওয়া, ব্যস্ত সড়কে স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত যান চলাচল, চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও প্রতিযোগিতা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইন প্রয়োগের অভাব, লাইসেন্স না থাকা চালক নিয়োগ এবং অদক্ষ চালক বা কন্ডাক্টরদের কাছে দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক গাড়ি ভাড়া দেয়া।
কারণগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত বোঝাই ও চালকদের ওভারটেকিং, বিরতি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, পথচারী ও ছোট গাড়ির চালক বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, দূরপাল্লার সড়ক ও জনবহুল এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের বেহাল দশা।
জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে ইউএনবিকে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাব যে মূলত চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও প্রতিযোগিতার মনোভাবের কারণে এসব ঘটেছে।’